সমাজে তথ্য প্রযুক্তির সুফল বা অবদান (Advantages of ICT to Our Society ) for HSC
সমাজে তথ্য প্রযুক্তির সুফল বা অবদান
তথ্যপ্রযুক্তি মানুষের সামাজিক ক্ষেত্রে যেসব সুফল বয়ে এনেছে সেগুলো হলো -
অপচয় কমায়ঃ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার যেকোনো ধরনের অপচয় রোধ করে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ধরনের ব্যয় কে সংকুচিত করে আর্থিক সাশ্রয় ঘটিয়ে থাকে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘরে বসেই বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফোন বিলের মতো বিভিন্ন ইউটিলিটি বিলগুলো এখন মোবাইল ফোনেও দেওয়া যায়।
সময় বাঁচায়ঃ তথ্য প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে যেকোন কাজে আগের চেয়ে কম সময় লাগে অর্থাৎ এর মাধ্যমে সময় সাশ্রয়ী ব্যবস্থা তৈরি করা যায়।
দক্ষতা বৃদ্ধিঃ তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার ও চর্চার ফলে ক্রমান্বয়ে সর্বক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ব্যবস্থাপকরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং দক্ষতার সাথে পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে লাভজনক প্রক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেন।
তথ্যের প্রাচুর্যঃতথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের কারণে যে কোন তথ্যের প্রাপ্যতা এখন সহজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে ইন্টারনেটের মত প্রযুক্তির কল্যাণে এখন বিশ্বটাকে পাওয়া যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। নেটে সার্চ দিয়ে প্রয়োজনীয় যে কোন তথ্য মুহূর্তেই দেখা যায়।
দ্রুত যোগাযোগঃ তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কারণে এখন তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে। ফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট, ইমেইল, এসএমএস , এমএমএস প্রভৃতি এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।
ভিডিও কনফারেন্সিংঃকম্পিউটার নির্ভর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূরদূরান্তে অবস্থিত ব্যক্তিবর্গ সময় এবং অর্থ খরচ কমিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে মতামত আদান-প্রদান করতে পারে।
ব্যবসা বাণিজ্যঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন হাওয়া লেগেছে। প্রথাগত ব্যবসার বাইরে ইকমার্স এর প্রচলন ঘটেছে। বিশ্বের এক প্রান্তের কোনো ক্রেতা তার ঘরে বসেই কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো পণ্যের অর্ডার দিতে ও তার অর্থ অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই উক্ত পণ্য ক্রেতার ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। বিশাল পরিমাণ বাণিজ্যিক কার্যক্রম এখন অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে।
মনুষ্য শক্তির অপচয় কমায়ঃশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার মনুষ্য শক্তির অপচয় কমায।কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবট ব্যবহার করে নানা রকম বিপদজনকও পরিশ্রমসাধ্য কাজ যেমন- ওয়েল্ডিং, ঢালাই, ভারী মাল উঠানো বা নামানো, যন্ত্রাংশ সংযোজন ইত্যাদি করা হয়
ই গভর্নেন্সঃতথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ই-গভর্নেন্স চালুর মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও দপ্তরের মধ্যে কাজের সুসমন্বয় ঘটানো যায়।ই গভর্নেন্স এর বাস্তবায়ন সরকারি কর্মকাণ্ডকে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ করে দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত প্রদান, অপ্রয়োজনীয় ব্যায় এবং সরকারের সঙ্গে জনগণের স্বয়ংক্রিয় সেতুবন্ধন গড়ে তোলে।
শিক্ষা ক্ষেত্রেঃ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা, পরীক্ষা দেয়া কিংবা শিক্ষামূলক বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে শিক্ষা লাভ করা যায়। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা থাকলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থী তার শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
যোগাযোগ ব্যবস্থায়ঃ সড়কপথ, রেলপথ, জলপথ এবং আকাশপথের যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার যোগাযোগ ব্যবস্থা করেছে সহজতর, দ্রুত, নিরাপদ এবং আরামদায়ক।
চিকিৎসায়ঃ
বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসক এক দেশে বসে একই সময়ে অন্য দেশের রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে জটিল সব অপারেশনে সার্জনদের নানা ধরনের কাজে রোবট সহায়তা করে।
কর্মসংস্থানঃ
কর্মসংস্থানের বিশাল বাজার উন্মুক্ত করেছে ইন্টারনেট প্রযুক্তি। ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন বিশ্বের যেকোন দেশের যেকোন কর্মী অন্য যেকোনো দেশের কর্ম দাতার কাজ ঘরে বসেই করতে পারেন এবং তার কাজের পেমেন্ট অনলাইনে গ্রহণ করতে পারেন।
বিনোদন ক্ষেত্রেঃ
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ফেইসবুক, মাইস্পেস, ইউটিউব, অর্কুট ইত্যাদি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও ভিডিও আপলোডিং সাইটে বন্ধুত্ব তৈরি করার পাশাপাশি ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা যায়। আজকাল ইন্টারনেট টিভি ও রেডিও চালু হওয়ায় স্ট্রিমিং অডিও ভিডিও প্রযুক্তির মাধ্যমে দূর দূরান্তে বসে টিভি ছাড়াই কম্পিউটারে টিভি দেখা যায়।
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়ঃ
বিভিন্ন যুদ্ধে শত্রু দেশের লক্ষবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে আজ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। আধুনিক সেনাবাহিনীর সব শক্তির মূলেই রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি। সমরাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, সব ধরণের ব্যবস্থাপনা, চালকবিহীন ক্রুজ, টোমা হক, স্কার্ড প্রভৃতি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি।
তথ্যপ্রযুক্তি মানুষের সামাজিক ক্ষেত্রে যেসব সুফল বয়ে এনেছে সেগুলো হলো -
অপচয় কমায়ঃ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার যেকোনো ধরনের অপচয় রোধ করে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ধরনের ব্যয় কে সংকুচিত করে আর্থিক সাশ্রয় ঘটিয়ে থাকে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘরে বসেই বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফোন বিলের মতো বিভিন্ন ইউটিলিটি বিলগুলো এখন মোবাইল ফোনেও দেওয়া যায়।
সময় বাঁচায়ঃ তথ্য প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে যেকোন কাজে আগের চেয়ে কম সময় লাগে অর্থাৎ এর মাধ্যমে সময় সাশ্রয়ী ব্যবস্থা তৈরি করা যায়।
দক্ষতা বৃদ্ধিঃ তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার ও চর্চার ফলে ক্রমান্বয়ে সর্বক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ব্যবস্থাপকরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং দক্ষতার সাথে পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে লাভজনক প্রক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেন।
তথ্যের প্রাচুর্যঃতথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের কারণে যে কোন তথ্যের প্রাপ্যতা এখন সহজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে ইন্টারনেটের মত প্রযুক্তির কল্যাণে এখন বিশ্বটাকে পাওয়া যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। নেটে সার্চ দিয়ে প্রয়োজনীয় যে কোন তথ্য মুহূর্তেই দেখা যায়।
দ্রুত যোগাযোগঃ তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কারণে এখন তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে। ফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট, ইমেইল, এসএমএস , এমএমএস প্রভৃতি এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।
ভিডিও কনফারেন্সিংঃকম্পিউটার নির্ভর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূরদূরান্তে অবস্থিত ব্যক্তিবর্গ সময় এবং অর্থ খরচ কমিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে মতামত আদান-প্রদান করতে পারে।
ব্যবসা বাণিজ্যঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন হাওয়া লেগেছে। প্রথাগত ব্যবসার বাইরে ইকমার্স এর প্রচলন ঘটেছে। বিশ্বের এক প্রান্তের কোনো ক্রেতা তার ঘরে বসেই কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো পণ্যের অর্ডার দিতে ও তার অর্থ অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই উক্ত পণ্য ক্রেতার ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। বিশাল পরিমাণ বাণিজ্যিক কার্যক্রম এখন অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে।
মনুষ্য শক্তির অপচয় কমায়ঃশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার মনুষ্য শক্তির অপচয় কমায।কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবট ব্যবহার করে নানা রকম বিপদজনকও পরিশ্রমসাধ্য কাজ যেমন- ওয়েল্ডিং, ঢালাই, ভারী মাল উঠানো বা নামানো, যন্ত্রাংশ সংযোজন ইত্যাদি করা হয়
ই গভর্নেন্সঃতথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ই-গভর্নেন্স চালুর মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও দপ্তরের মধ্যে কাজের সুসমন্বয় ঘটানো যায়।ই গভর্নেন্স এর বাস্তবায়ন সরকারি কর্মকাণ্ডকে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ করে দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত প্রদান, অপ্রয়োজনীয় ব্যায় এবং সরকারের সঙ্গে জনগণের স্বয়ংক্রিয় সেতুবন্ধন গড়ে তোলে।
শিক্ষা ক্ষেত্রেঃ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা, পরীক্ষা দেয়া কিংবা শিক্ষামূলক বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে শিক্ষা লাভ করা যায়। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা থাকলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থী তার শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
যোগাযোগ ব্যবস্থায়ঃ সড়কপথ, রেলপথ, জলপথ এবং আকাশপথের যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার যোগাযোগ ব্যবস্থা করেছে সহজতর, দ্রুত, নিরাপদ এবং আরামদায়ক।
চিকিৎসায়ঃ
বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসক এক দেশে বসে একই সময়ে অন্য দেশের রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে জটিল সব অপারেশনে সার্জনদের নানা ধরনের কাজে রোবট সহায়তা করে।
কর্মসংস্থানঃ
কর্মসংস্থানের বিশাল বাজার উন্মুক্ত করেছে ইন্টারনেট প্রযুক্তি। ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন বিশ্বের যেকোন দেশের যেকোন কর্মী অন্য যেকোনো দেশের কর্ম দাতার কাজ ঘরে বসেই করতে পারেন এবং তার কাজের পেমেন্ট অনলাইনে গ্রহণ করতে পারেন।
বিনোদন ক্ষেত্রেঃ
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ফেইসবুক, মাইস্পেস, ইউটিউব, অর্কুট ইত্যাদি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও ভিডিও আপলোডিং সাইটে বন্ধুত্ব তৈরি করার পাশাপাশি ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা যায়। আজকাল ইন্টারনেট টিভি ও রেডিও চালু হওয়ায় স্ট্রিমিং অডিও ভিডিও প্রযুক্তির মাধ্যমে দূর দূরান্তে বসে টিভি ছাড়াই কম্পিউটারে টিভি দেখা যায়।
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়ঃ
বিভিন্ন যুদ্ধে শত্রু দেশের লক্ষবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে আজ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। আধুনিক সেনাবাহিনীর সব শক্তির মূলেই রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি। সমরাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, সব ধরণের ব্যবস্থাপনা, চালকবিহীন ক্রুজ, টোমা হক, স্কার্ড প্রভৃতি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি।
Comments